Heart touching bangla short love story, bangla love kobita প্রেমের কবিতা ছড়া গল্প. valobashar bangla golpo kotha, bangla choto golpo, biroher বাংলা kobita, bangla love ভালোবাসার romantic sad story in Bengali font and language, bangla love story facebook, bangla love story, bangla love story kobita, heart touching love story in bengali
Bangla Love Story Sad Kobita Valobashar Premer Golpo
- Premer Kobita In Bengali
সৈকতে ওই আহত ঝিনুক পাইনি পাইনি যে শিহরণ,
মৃত্যুমুখীন শহরে প্রেমের আমরণ অনশন।
আজ আদিম রাত্রি নিষিদ্ধ ঘ্রাণ মৃত জোনাকির ব্যথা
ছায়া পথের ওই একলা তারাটি কানে কানে বলে কথা।
ফিরে আসা বলে হয়না কিছুই আসবেনা ফিরে জানি,
শুধু প্রেমিক হয়ে জন্মালে আমি জন্মান্তর মানি।
- Bangla Love Premer Kobita
তোমার জন্য বারুদ ঝরানো ফুল, ক্ষ্যাপা নদী আজ তোমার জন্য ভাসাবেই তার দুই কূল।
তোমার জন্য তুষারের ঝরে ছোটাব মোটর বাইক, বাজে ছবিতেও তোমার জন্য পরবে হাজার লাইক।
তুমি আছো তাই হারবে যুদ্ধে ঘাতক রাষ্ট্রীয় যন্ত্র,
তুমি বললেই ছুড়ে ফেলে দেব পরিহাস গণতন্ত্র।
তোমার স্বপ্ন পুতেছি হাজার প্রেমের বিষ,
নীর হারা পাখি তোমার জন্য একা একা দেয় শিস।
তোমার জন্য দেবতারা সব এই হতে হবে বন্দী, ভেঙ্গে দেবো আমি তোমার জন্য ভন্ডামী ঘেরা গণ্ডি।
তোমার জন্য ওই মন্ত্রীও খেতে ভুলে যাবে ঘুষ,
শুধু তোমার কথায় ওই ছেলেটিকে করবো একটু পুস।
তোমার জন্য ওই ওস্তাদ কোলে তুলেনেবে সরোদ,
সুর তুললেই তোমার জন্য ভেঙে যাবে সব গারদ।
তুমি বললেই স্বর্গের সুখ টেনে নামাবো মর্তে,
ধর্ম পুলিশ তোমার জন্য পালিয়ে বাঁচবে গর্তে।
তোমার জন্য ব্যার্থ প্রেমের বানাবো সংচুয়ারি,
তুমি বোঝলেই ছোট্ট মেয়েটি আর করবেনা আরি।
মহাকাশে আজ তোমার জন্য পেতেছি ফুলের সজ্যা,
শুধু তোমার জন্য আগুনে জ্বালাবো আমার অস্থি মজ্জা।
- Heart Touching Love Story In Bengali
মনের মধ্যে লুকিয়ে আছে কুরচি ফুলের পাপড়ি দেয়া একটা মুখ। যে মুখ আমাকে অতি সাধারণ ছোট্ট জিনিসেও আনন্দ পেতে শিখিয়েছে। ওই মুখের কোনো জিওমিট্রি নেই। দূর্বিনেও ঝাপসা দেখায়। না মাপা যায় স্কেলে বা কম্পাসে তাও মনের আলো পড়তেই ঝলমল করে উঠে।
কুরচি ফুলের পাপড়ি দিয়ে গড়া ওই মুখ। সেই মুখ কিছু ক্লান্ত মানুষের চামড়া দিয়ে গড়া অন্য মুখও ছিলো। যারা মেকআপের চড়া তুলিতেও ক্লান্তি ঢাকতে না পেরে মুখোশ কেই মুখ ভেবে নিয়েছে। শুধু ওই কুরচি ফুলের পাপড়ি দিয়ে গড়া মুখটি ছাড়া।
- Valobashar Golpo Kotha
কেনো ফেলে এলি তোর মানবী মুখ? মহেঞ্জোদারোর না খুঁজে পাওয়া পাথরে! মন্দকান্তা পিপাসার কখনও বা ভাবনার দেহহীন উত্থানে ভর করে ঠিক এসে দারালি। আমি যখন কেবলি আমার হৃৎপিণ্ড মানব দেহের প্রথম অঙ্গ। সেই আদিম স্পন্দন তোর পিপাসার্থ ঠোঁটে ধাক্কা খেয়ে শুনিয়েছিল ঈশ্রাজের মতন।
তোর কি মনে আছে? গোয়াল পাড়ার তারিত থেকে সুখ বা শিথিল স্নায়ুর আরাম মাখানো ধোয়ার মুখ। মধ্য রাতে ভুবন ডাঙার এক ঝুপড়িতে নিমেষে পৌঁছে দিত শূন্য থেকে শূন্যে। তখন ছিলনা তোর মানবী মুখ।
তুই ভিজে চলেছি তুমুল বৃষ্টিতে খোয়াইয়ের গেরুয়া জলে তোর বৃষ্টি ভেজা উম্মুক্ত পিঠ। যেনো একলা থাকা রংবিহীন এক শুকনো ইজেল। তোর পিঠে একেছিলাম তোরই পিপাসার্থ মুখ।
ভ্রু কুঁচকে ছিল দ্যা ভিঞ্চির মোনালিসা আর হুসেনের সরস্বতী। পাগল হয়েছিলো রত্নার বলিষ্ঠ ভাবক। দিক শূন্য মধ্য আটলান্টিকের এক নির্জন প্রবাল দ্বীপে বসেছে তোর সয়োন্বর সভা। যেখানে হিজিরার বার্তা পাঠিয়েছে সাত নক্ষত্র থেকে নেমে আসা তোর স্বপ্নের রাজকুমার।
- Sad Love Story In Bengali Language
আমার সর্বনাশের আলোতে যখন ঝলমল করে তোর মনের ময়ূর মহল। তোর গোলাপী বিশের মতো ঠোঁট থকে সমস্ত চুম্বন পালায় পরকিয়া পরাগের লোভে। আমি তোর বুকে কান পেতে শুনি এক বাস্তু সাপের ফিস ফিস নেশা মেশানো মৃত কোকিলের গান। আর এক নীর ভাঙা পাখির প্রেম ভিক্ষা ব্যর্থ ঝড়ের কাছে।
আমার চামড়ায় কেনো ঈশ্বরের রঙ। কেনো তাড়িয়ে দিলেও সপ্তসী মন্ডল নেমে আসে বারে বারে? শোনায় রূপ কথার গল্প! কেনো তোর শরীরের আবছা বাকে আমার ভীতু শব্দের কবুতর ডানা ঝাপটায়? মন্দাকান্তা আমি পালাতে চায় স্বর্গের গারদ ভেঙে নরকের সুরি খানায়।
হাটতে চায়না ধর্ষিতার শবদেহ নিয়ে মানবতার মৌন মিছিল। কবিরা যে মিছিল থেকে ফিরে সোজা হাটা দেয় পুরস্কারের রঙ্গ মঞ্চে।
তোর নিশ্চিন্ত পুরের সাঁঝ বাতি আর শঙ্খধ্বনির মাঝে ছায়া হয়ে অতপেতে থাকে কালকের কাম তুমি আর হাজার মোমবাতির অপেক্ষায় থাকে আবার শোখমিছিলে জ্বলে ওঠার।
- Best Of Love Story Bangla
ভালোবাসার প্রতিটি কোন যেনো ভালোবাসা দিয়ে ভরা। ধাবমান বাঘের চোখ পালাতে না পারা গর্বিনি হরিণীকে। প্রোমোটার ভালোবাসার এক পুরনো বাড়ির মালিককে। তোমার কিশোরী কাজল লতা চোখ ভালোবাসতো ধারের খাতায় চা বিরি খাওয়া ওই বেকার ছেলেটিকে।
এসো আমরা ভালোবাসার এক মিউজিয়াম বানায়। সেখানে রাখবো সময়ের ধূসর স্পর্শে অন্তসলিলা হয়ে যাওয়া ভালোবাসার মমি। এক সময়ে যে দোল খেতো পৌরাণিক আশ্রম কন্যাদের আঁচলে, কোমরের ভাঁজে বা পায়ের নূপুরে।
সে ভালোবাসায় ছিলনা কোনো মহা জাগতিক বিস্ফোরণ। তাই সে পারেনি পাথরকে ফুল করতে বা ফুলকে পাথর। কেউ পারেনি তাকে মমি হওয়া থেকে বাঁচাতে। সে শুধু এখন অপেক্ষারত চিরদিনের।
- Valobashar Choto Golpo
আজ বিষ হয়ে যাক শিরায় শিরায়। ভ্রমরে ফোটা ফুল স্খলিত বসনা দখিনা বাতাস ভৈরবী নাকি ফুল।
শিমুল পলাশ ছিড়ে চলে গেছে অনন্ত যৌবন। আজ হাড়ের ভেতরে কলঙ্ক গান, চোখেও সম্বহণ।
তোর ওই চোখে ঊষার আলোটি স্বচ্ছ ফটিক জল। বহির গহনে জ্বলুক আগুন হোকনা টলমল। খোলা পিঠটাকে কানভ্যাস ভবি আঁকি শুধু তোর মুখ। তোর চোখে দেখি হলুদ ফসল। তুই কি অলিক সুখ!
এই গোধূলি বেলায় আকাশের গায় তৃষ্ণার অবয়ব। প্রেম শুয়ে আছে সাজানো চিতায় হয়ে সুন্দর সব।
- Biroher Golpo Kotha
বিপদ মাখানো আগামী দিন পেয়েছি নিশ্চিন্ত আশ্রয় আমারি হাতের রেখায়। আমি টলমল পায়ে উঠবো সেই অলীক চিলেকোঠার ঘরে। রক্তের ছাপে রাঙা পদচিহ্ন ধরে। আকাশে জেগে ওঠা নক্ষত্র সুন্দরী বিরহিনি নেকরের মতো ডেকে উঠবে এসো এসো!
তুই তখন হলুদ রোদ হয়ে আমার গায়ে এসে পড়বি। চিলেকোঠার ভাঙা কাঁচ পেরিয়ে। তখন ভাববো আমি কি সত্যি জাগিনি! জেগে আছি শুধু তোর স্বপ্নে?
ভানুমতি তোকে চিৎকার করে ডাকার আগে আমি তো নিয়েছি আমার পাগল রক্তের অনুমতি। তাহলে কেনো সারাপথে জেগে থাকে শ্বসান! কেনো অহরহ তোর স্বপন জ্বালায় স্বপ্ন পূরণের চিতা। আমি এক স্বপ্ন থেকে পালিয়ে ঢুকে পড়ি আর এক স্বপ্নের মধ্যে।
যেখানে তোর চোখ আর চোখের কাজলের মধ্যে মাথা তুলেছে এক দুঃখের বরফের মায়াবী সেতু। কান্নার জল জমিয়ে। ভানুমতি আমার অবলুপ্ত চিন্তারা বিসৃতির অতলান্ত থেকে উঠে এসেছে স্লেজ গাড়ির মতো। নক্ষত্র বেগে পেরিয়ে যাচ্ছে ওই পিচ্ছিল সেতু।
দিগভ্রান্ত আমি ক্লান্ত আমি করে চলেছি স্বপ্নের সন্ধান।তোর কুয়াশা ভেজা মনে হাজার বছর ধরে দাড়িয়ে থাকা নির্জন পাইন অরণ্যে।
- Very Nice Love Story Bangla
এক নিঃশব্দ সাইক্লোন তোমাকে নিয়ে করে স্বপ্নের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তুই ঘেমে উঠা ক্লান্ত শরীর খোঁজে স্নান ঘর। কেরে নেয় স্বপ্ন হারা ঘুমের আরাম। চাটুকার বোবা বাতাস হ্যাংলার মতো সুখোয় তোমার ভেজা চুল। তুই শরীরের দুর্গম উপত্যকায় যে মাতাল কালো পিপড়ে টা পথ হারিয়ে বাউল গান গাইছে, সেই গানের একতারা তো তুই, তুই নিজে।
এক প্রাগৈতিহাসিক উষ্ণপ্রসবনে আনন্দ অবগাহন। নিজেকে জন্মদিতে আজও খুজে পেলিনা একটিও মাতৃ জঠর। চড়া সুদে ধার নিতে হলো ঈশ্বরের নাভি কুণ্ডলী!
তোর কর্তিনাশা প্রমের আগুনে শেষ হয়েছিল ট্রয় নগরী। তখনও তুই সুযোগ ছাড়িসনি। বীনার ঠুংড়ির যুগলবন্দীর পুরে যাওয়া রোমে সম্রাট নিরুর হারেনি। আর মাঝ রাতের নীল ছবি খোজা পত্নিনিষ্ঠ ধার্মিকের দল ডুব দিয়েছিল বিস্মৃতির অতলান্তের নিরাপদ আশ্রয়ে।
সেই প্রাচীন প্রবাদ প্রচার করেছিল চিতার না পোড়া কাঠের গরিমা। মৃত্যুভয় কাটানোর টোটকা। মিথ্যে কথা সব মিথ্যে কথা ওই কাঠের বানানো ডাং গুলি নিয়ে আমরা দাপিয়ে বেড়িয়েছিলাম সারাটা তেপান্তরের মাঠ।
তবুও তুই ভয় পেলি। যে শব্দের টুকরো গুলো এক যুগ অভুক্ত থেকেছে। তোকে একবার শুধু একবার ছোঁবে বলে। ওরা বন্দী হবেনা কাগজের কারাগারে। তুই ভেসে যা কবিতার ভেলায়, ঠিক যেমন করে বেহুলা ভেসেছিল লখিন্দরকে নিয়ে কালের মান্দাসে।