মানুষের জীবনে বিভিন্ন ভাবে ভালোবাসা আসে। কেউ চোখে দেখে ভালোবাসে, কেউ আবার অনুভবে ভালোবাসে। আসলে ভালোবাসা এরকম এই কখন কাকে ভালোলাগে যায় আর মনের অজান্তেই মন হারিয়ে যায় কোনো এক ভালোলাগার সাগরে। আর প্রেমের সাগরে ঢেউ খেতে খেতে হৃদয় তলিয়ে যেতে থাকে অসীম সমুদ্রে।
আজ এরকমই একটি খুনসুটি ভরা রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পকথা new bangla sms (মনের কথা মনে) ওয়েব সাইটের মধ্যে দিয়ে সকলের কাছে তুলে ধরা হলো। আসা করি সবার ভালো লাগবে।
Bangla Love Story (ভালোবাসার গল্প) Part – 1
আবির: হ্যালো!
নীলিমা: হ্যালো…..হ্যালো শুনতে পাচ্ছি বলো!
আবির: আরে কেমন আছো আমি কতক্ষন ধরে ট্রাই করছি। কিন্তু শোনায় যাচ্ছিলনা জানো।
নীলিমা: হ্যাঁ হ্যাঁ আমিও তাই দেখলাম। একচুয়ালী এই ইন্টারনেটের হোয়াটসঅ্যাপ কল গুলোতে যত সমস্যা।
আবির: হ্যাঁ সেটাইতো! বলছি নরমাল ফোনে কল করি। তাতেও তোমার সমস্যা।
নীলিমা: অবিয়েসলি তুমি ISD কল করবে লন্ডন থেকে একগাদা টাকা উঠবে। আর আজকে না হয় আমার আর তোমার খুব ভালো সম্পর্ক। কালকে ঝগড়া হবে। তারপর তুমি সবাইকে বলে বেড়াবে। একটা কলকাতার মেয়ের সঙ্গে আলাপ হলো ফোনেই একগাদা টাকা চলে গেল। আমি ওসব বলার সুযোগ দেবনা।
আবির: হা হা হা….. তাইনাকি আর তুমিযে কাল নরমাল কল করেছিলে। তখন তুমিযে পয়সা খরচ করলে?
নীলিমা: হ্যাঁ করেছিলাম কারণ কাল আমার হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছিলো না। আর আমি তোমাকে মিস করছিলাম মন ভালো লাগছিলনা তাই করেছিলাম। এরকম হয়ে থাকে মাঝে মধ্যে বুঝেছ। তবে হ্যা কাল অনেক গুলো টাকা কেটে গেছে; ধ্যাত….!
আবির: য়েহঃ বাবা কিপটে কোথাকারে।
নীলিমা: কিপটেনা হিসাবী বোঝাগেছে। শোনো টাকাটা না অনেক কষ্টকরে আসে বুঝেছ। ওটা রাখতে শেখো কি একটা প্রেম টাইপ কি একটা হলো ব্যাস সবটাকা খরচ করেদিলাম তার পেছুনে। এই মেন্টালিটি একেবারে ভালনা বুঝেছ।
আবির: ও আচ্ছা তাইনাকি! নাকি তোমার কমিটমেন্ট ভুলে গেছো।
নীলিমা: নো নেভার
আবির: আমিতো জানতাম কিপটে ছেলেরা হয়। এতো দেখছি উল্টো।
নীলিমা: আরে বার বার বলছি না এটা কিপটামি না এটা হলো হিসাবী। আর এমনিতে টাকা এখন প্রচুর তুলে রাখতে হবে গোয়া ট্রিপেরে জন্য। শোনো আমি অফিসের জন্য কিন্তু ছুটি এপ্লাই করে দিয়েছি। একসপ্তাহের বেশি কিন্তু আমি ছুটি নিচ্ছিনা ঠিক আছে!
আবির: আমি আসছি তিন সপ্তাহের জন্য। এই তিন সপ্তাহের একসপ্তাহ গোয়ার জন্য। তোমাকে কিন্তু আমি চার রকম হোটেলের লিংক পাঠিয়ে দিয়েছি অলরেডি। একটাও এখনো প্রযন্ত কনফার্ম করনি। আরে এর পরে বুকিং পাওয়া যাবেনাতো। দেখো আমিতো বুক করে দিতে পারি। কিন্তু তোমার পছন্দের তো একটা ব্যাপার থেকে বলো।
নীলিমা: আমি বুক করে দিতে পারি মানে? আমরা দেখা করছি আমি বললাম তোমায় গোয়া নিয়ে যাবো আমি সব করবো তোমাকে ভাবতে হবেনা। তুমি বুক করেদেবে মানেটাকি!
আবির: আরে তুমি পরে না হয় পইসা টা দিয়ে দিও। ব্যাস তাহলেই তো মিটেযাবে। আচ্ছা এবার দয়া করে ফোনটা রেখে হোটেল গুলো দেখো। আর একটা কনফার্ম করো তাড়াতাড়ি।
নীলিমা: আরে আবির এখনোতো তিনমাস বাকী।
আবির: তাতে কি হয়েছ আমি আগেথেকে সবকিছু করতে পছন্দ করি। এই লাস্ট মিনিট নাটক আমার একদম পছন্দ হয়না বুঝেছ। এখন ফোন রাখো আমি খেয়ে নিই আমার খিদে পাচ্ছে।
নীলিমা: ওয়েইট ওয়েইট দাড়াও দাড়াও আরে দাড়াও না কি বলছি শোনো তার পরে ফোন রাখবে। আমার সামনে ল্যাপটপ খোলা আছে দাড়াও দেখে নিচ্ছি তুমি কি লিঙ্ক পাঠিয়েছ। ইনবক্সে দিয়েছো তো?
আবির: হ্যাঁ হ্যাঁ……. চারটে লিঙ্ক দেখো। আস্তে আস্তে দেখো তোমার সময় লাগবেতো।
নীলিমা: আরে হয়ে গেছে তুমি ফোনটা একটু ধরতো।
আবির: আরে আমার খিদে লেগেছে লাঞ্চটাতো করে নেই।
নীলিমা: ওকে ওকে এই কি খাচ্ছো লঞ্চে?
আবির: বুঝতে পারছিনা কি খাবো। চানা বাটরা খাবো নাকি থালি নেবো ভাবছি!
নীলিমা: এই ওখানের ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট গুলো কেমন গো?
আবির: আরে ফাটাফাটি ইয়ার। সব খাবার গুলো দারুন টেস্টফুল আর সুইট। আর সুইট কর্নারে যে একটা মেয়ে আছেনা আমি ওর সঙ্গে কথা বলবো বলে রোজ দুটো করে এক্সট্রা গোলাপ জামোন কিনি।
নীলিমা: ওহঃ কি জঘন্য।
আবির: আরে এতে জঘন্যের কি আছে। তুমি যেনো ধোয়া তুলসি পাতা!
নীলিমা: ধ্যাত আমার কাউকে ভালো লাগলে তার জন্য নিজের শরীর নষ্ট করে ফেলিনা।
আবির: হোয়াট শরীর নষ্ট? এতে শরীরে কি আছে?
নীলিমা: বাহ বা বাহ বা রোজ দুটকরে গোলাপ জামোন শরীর নষ্ট নাতো কি?
আবির: আমি কি বললাম আমি রোজ দুটোকরে গোলাপ জামোন কিনি। আমি কি খাই বলেছি!
নীলিমা: মানে?
আবির: মানেটা খুবই সিম্পল রোজ দুটোকরে গোলাপ জামোন কিনি পূজার সঙ্গে কথা বলবো বলে। আর গোলাপ জামোন রুমে নিয়ে চলে আসি ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেই। দুএকটা পরে গরম করে খাই বাকি গুলি উইকেন্ডে বন্ধুরা আসে তারা ফাঁকা করে দেয়।
নীলিমা: ওমা হাও সুইট।
আবীর: ভীষণ সুইট গো হা হা হা। একচুয়ালি এসবি হচ্ছে প্ল্যানিং বুঝেছ প্ল্যানিং করে ফ্লাটিং, প্ল্যানিং করে মিষ্টি কেনা। প্ল্যানিং করে ইন্ডিয়া ভিজিট। আমি প্ল্যানিং এ বিশ্বাসী বুঝেছ। প্ল্যানিং করে সব কিছু করা ভালো বুঝেছ। তাহলে আমাদের ট্রিপটাও ভালো হবে।
নীলিমা: হ্যাঁ ঠিক আছে বুঝেছি উফঃ আর পারিনা।
আবির: হা হা হা ঠিক আছেতো! যাই হোক তুমি একটা কাজ করে হোটেল গুলো দেখে নাও। দেখো কোনটা তোমার পছন্দ হয় ওকে।
নীলিমা: হ্যাঁ ওকে ওকে। আচ্ছা শোনো শোনো।
আবীর: আরে তাড়াতাড়ি বলো আই অ্যাম ভারি হ্যাংরি।
নীলিমা: বলছি আজকেও কি ওই পূজার সুইট কর্নার থেকে গোলাপ জামোন কিনবে?
আবির: হা হা হা কি কি বলছো?
নীলিমা: হাসছো কেনো বলো।
আবীর: আরে আবার হোয়াটসঅ্যাপ কলের প্রবলেম টা হচ্ছে। শুনতে পাচ্ছিনা জোরে বলো।
নীলিমা: একদম বাজে কথা বলবেনা পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছো। বলছি আজকেও কি পূজার সুইট কর্নার থেকে গোলাপ জামোন কিনবে?
আবির: হা হা হা বলতে পারছি না দেখি……
নীলিমা আবার কিছুক্ষণ পর ফোন দিল আবীরকে।
নীলিমা: হ্যালো
আবির: হ্যালো হ্যালো….
নীলিমা: আরে শুনতে পাচ্ছি ওহঃ
আবির: আরে কি হলো কি তখন থেকে ফোন করছি। দেখা যাচ্ছে দিস নম্বর ইস ওয়েটিং।
নীলিমা: আমিওতো করলাম গো দুবার দেখাচ্ছে আবীর ইস ওয়ানা অ্যানাদার কল।
আবীর: তুমি ধরছো না দেখে আমি মার সঙ্গে এই ফাঁকে একটু কথা বলে নিলাম আরকি।
নীলিমা: কি বললো মা?
আবীর: কেনো বলবো!
নীলিমা: আহ্ঃ বলোনা….
আবীর: হা হা হা ….. মা বললো একগাদা জামাকাপড় আনিসনা আমি অনেক শার্ট টিশার্ট কিনে রেখেছি অলরেডি। আসলে মামাদের ওখানে মা গেছিলো ওখানে ওরা একগাদা জামাকাপড় পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর আমি গেলে এমনিতেই অনেক শপিং করি বুঝেছ।
নীলিমা: হুম বুঝতে পেরেছি। তুমি আসছো ২৬ জুলাই তাইতো। আর আমরা দেখা করছি ২৪ জুলাই ঠিক তো?
আবির: ইয়েস গোয়া এইরপর্টে।
নীলিমা: আচ্ছা আমরাতো এক সঙ্গেই কলকাতা থেকে যেতে পারতাম।
আবীর: হ্যাঁ পারতাম। কিন্তু আমাকে যে পুনে যেতে হবে আসলে আসিসের বিয়েতে এটেন করতে পারিনি না। তাই ওর সাথে দেখা করাটাও অনেকটাই জরুরি। আর মা বাবাও খুব ভালোবাসে ওকে। তাই মা বাবারও ঘোড়া হয়ে যাবে প্লাস আসিস আর প্রিয়ার সঙ্গেও দেখা হয়ে যাবে।
নীলিমা: আসিস আর প্রিয়ার লাভ ম্যারেজ?
আবীর: না না না নট রিয়ালি।অসিসের ব্যাপারটা আসলে ভেরি স্যাড। ওর ফ্রাস্ট ওয়াইফ সুসাইড করেছিল। ও খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে জানো। তার পর আমরা ওকে বোঝালাম। ওর একটা স্কুল ফ্রেন্ডস এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে ওখানেই সবাই খুব বুষ্টআপ করে ওকে।
আসলে ম্যারেড লাইফ এ ও হ্যাপি ছিলনা। খুবই ডিপ্রেস থাকতো জানো। আসলে মেয়েটা খুব সন্দেহ করতো ওকে। কাজেকর্মে যেতে দিতনা। তারপর অফিসের পার্টি হলেতো আর এক গল্প সারাক্ষণ ফোন করে যাবে। সাসাইড থ্রেড দেবে। ও আগে থেকে বাবামা অফিস সবাই কে জানিয়ে রেখেছিল এই বিষয়টা। ইট ইস স্যাড ইনসিডেন্ট। ছারো….
নীলিমা: না না না দাড়াও তারপর কি করে আশিস প্রিয়াকে পেলো?
আবীর: প্রিয়া হলো আশিসের অফিসের ইনচার্জ। আশিসের এই খারাপ সময় প্রিয়া ওর বেসটফ্রেন্ড মনে যাকে বলে ফিলোসফার গাইড এরকম বলতে পারো।
নীলিমা: এটা তো আশিসের উপর দয়া করা হয়েছে তাইনা। এটা কিরকম একটা প্রেডিক্টেবল লাভ স্টোরি হয়ে গেলনা।
আবির: এটা তো ওদের ব্যাপার ওরা কি করবে সেটা কি তুমি বলে দেবে।
নীলিমা: আই জাস্ট অ্যানালাইজিং যে কিভাবে ওরা একটা ঐতিহাসিক প্রেমের দিকে আগাচ্ছিল মাঝখান থেকে কি সব সামাজিক রীতিনীতি এসে কি সব বিয়েটিয়ে করে সব কেচিয়ে দিলো।
আবীর: হুম আচ্ছা তাহলে কি করা উচিৎ ছিল?
নীলিমা: সময় দেয়া উচিৎ ছিলো। এটা তো একটা সুন্দর ব্যাপার না, যে একজনের মন ভালনা থাকলে আর একজন তার মন ভালো করতে এগিয়ে আসছে।
আবির: এটা নিয়ে এত ভাবার কিছুনেই ওরা নিজেরাই ঠিক করেছিল যে ওরা বিয়ে করবে। আর বিয়ের উপর এতো রাগকেনো তোমার?
নীলিমা: এই আবার সেই টিপিক্যাল কথা আচ্ছা বিয়ের উপর আমার রাগ হবে কেনো। আমি বলতে চাইছি দুজন মানুষ একাকীত্বের সময় একে অপরকে তাদের মনের কথা বলেছে তা ভালইতো। তাই বলেই তাদেরকে হটাৎ করে এক ছাদের তলায় ঢুকে পরতে হবে এটা কেমন কথা।
বেশ কিছু সময় এক সাথে থাকার পর, একাকীত্ব কেটে যাওয়ার পর, আর হয়তো সেই অ্যার্ট্রাকশানটা একে অপরের প্রতি অনুভব নাও হতে পারে তখন কি হবে। তখনতো আবার সেই দুঃখ সেই কষ্ট তাই একটু সময় নিয়ে বিয়েটা করলে হতনা সেটাই বলছিলাম আরকি। আর তুমি কি সব ভুল ভাল ভাবছো। আমার একদম এসব ভাল্লাগেনা ধ্যাত।
আবীর: আমারও এসব ভাল্লাগেনা।
নীলিমা: কি?
আবীর: আমি তোমাকে বললাম কোন হোটেলটা তোমার পছন্দ হচ্ছে জানতে। একবারও সেটার প্রয়োজন বোধ করলেনা। সেটা ভাল একদম ভাললাগেনা।
নীলিমা: আচ্ছা ওয়েট ওয়েট সরি ভুলিনি কথা বলতে বলতে মনে ছিলনা। বলছি শোনো ওই নীচের হোটেল তিন নম্বটা। ওটা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হচ্ছে আই লভড ইট।
আবীর: ও হ্যা হ্যা ওই যেটা ছাদে বসে দূরে সমুদ্র দেখার ব্যবস্থা আছে ওটা তো?
নীলিমা: ইয়সে এটা ভীষণ পছন্দ আমার।
আবীর: দেখেছিলাম একটা নৌকা রাইডও আছে হোটেলের সামনে। ইট ইন্ত্রস্টিং।
নীলিমা: সত্যি তাই একটা নৌকা রাইন্ড যেটা নাকি হোটেলের সামনে যাতে চড়ে বাকি ব্রিচে যাওয়া যায় ওয়াও। ওটা বোধ হয় পাঁচ হাজার পরে না এক নাইট?
আবীর: হুম ফাইভ থাওসেন্ড। চলো বুক করে দিলাম।
নীলিমা: আচ্ছা পরে কিছু ভালো পেলে উইকেন্ড কন্সেল আলসো তাই না।
আবির: ইয়েশ অফকোর্স আরে ওটা দুমাস প্রযন্ত থাকে ক্যান্সেল করার। অ্যান্ড মানি রিফান্ড। তারপর আর হবেনা।
নীলিমা: ওকে মনে সেপ্টেম্বর মাসে আমরা আর কিছু করতে পারবোনা তাইতো? আচ্ছা শোনো আমি জাস্ট ভাবছিলাম আমার একটা বন্ধু আছে বুঝেছ ঋতিকা ওর না সবে সবে ব্রেকআপ হয়েছে, ভাবছিলাম তাকে কি নিয়ে যাবো তোমার বোরিং লাগবেনাতো?
আবীর: আমার কেনো লাগবে তোমার লাগতে পারে।
নীলিমা: কেনো?
আবীর: যেমন ধরো ব্রিচের ধরে একা বসে থাকবে। আর আমি তখন ওকে নিয়ে বাইকে রাইড করবো। ওফ দারুন জমবে। এই এই প্লিজ নিয়ে এসো ওকে প্লিজ নিয়ে এসো। এই শোনো শোনো….
নীলিমা: কি শুনছি বলে জাও
আবীর: বলছি তোমার বান্ধবী মানে ওই ঋতিকা ফেসবুকে আছে?
নীলিমা: কি হচ্ছে এসব আবীর।
আবীর: আরে কি আবার কষ্ট হচ্ছে ইস সবে সবে মেয়েটার ব্রেকআপ হয়েছে। তোমার চেয়ে আমি ওকে বেটার কাউন্সিলিং করতে পারবো জানো!
নীলিমা: এই কি বলছো তুমি?
আবীর: বিশ্বাস করো….
নীলিমা: আই হেট ইউ
আবীর: আই হেট ইউ টু, হা হা হা রাগছো কেনো নীলিমা একটুতো আমার কোম্পানিটাকে রেসপেক্ট করো। আচ্ছা একটা কথা বলি তুমি কি আমার সাথে একলা যেতে ভয় পাচ্ছো।
নীলিমা: ধ্যাত ফালতু কথা, ঝগড়া করার জন্য টপিক বের করছো কেন। আচ্ছা শোনো আমি এখন রাখছি আমার এখন যুম্বা ক্লাস আছে।
আবীর: এই শোনো…..
নীলিমা: হ্যাঁ বলো বলো বলো
আবীর: বলছি ঋতিকা যায় তোমার জুম্বা ক্লাসে।
নীলিমা: আবীর এবার তুমি বলো এবার কে ডিসরেসপেক্ট করছে?
আবীর: বলোনা বলোনা যায়?
নীলিমা: হ্যাঁ যায় যায় যায়। ওখানেই তো আড্ডা হয় আমাদের।
আবীর: এই কেমন নাচে ঋতিকা?
নীলিমা: মোটামুটি
আবীর: নিশ্চই ভালো নাচে তুমি হিংসে করছো
নীলিমা: জঘন্য মোটেই না এসব বলছো কেনো আবীর? কেনো! এটাকে কি বলে জানো দেখ কেমন লাগে।